DMCA compliant image Car tips or good driver trick - Sourabhalder

Sourabhalder

SUBTOTAL :

Sell

Search

Pageviews

Contact Form

Name

Email *

Message *

Translate

Tips
Car tips or good driver trick

Car tips or good driver trick

Short Description:

Product Description

গাড়ির যন্ত্রাংশ: ভেতরে-বাইরের সকল যন্ত্রাংশের নাম ও কাজ গাড়ি কেবল বাহন নয়, এটি অসংখ্য যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে গঠিত একটি জটিল যন্ত্র। প্রতিটি যন্ত্রাংশের আলাদা গুরুত্ব ও নির্দিষ্ট কাজ থাকে যা গাড়ির নিরাপদ ও আরামদায়ক চালনা নিশ্চিত করে। যারা গাড়ি চালান বা গাড়ির প্রতি আগ্রহী, তাদের উচিত এই যন্ত্রাংশগুলোর নাম ও কাজ জানা। এই লেখায় আমরা গাড়ির ভেতরের (Interior) ও বাইরের (Exterior) সকল গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের নাম ও বিস্তারিত কাজ সম্পর্কে সহজভাবে আলোচনা করবো। ⠀ ১. গাড়ির বাইরের (Exterior) যন্ত্রাংশ ও কাজ ১.১ বাম্পার (Bumper)=বাম্পার হলো গাড়ির সামনের ও পেছনের অংশে লাগানো এক ধরনের সুরক্ষা কাঠামো। এটি হালকা ধাক্কা বা সংঘর্ষে গাড়ির প্রধান অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। ⠀ ১.২ হেডলাইট ও টেইল লাইট হেডলাইট: রাতে বা কম আলোতে রাস্তা দেখতে সাহায্য করে। টেইল লাইট: পিছনের গাড়িকে গাড়ির উপস্থিতি বোঝাতে সাহায্য করে। ইন্ডিকেটর: গাড়ির বাঁ বা ডান দিকে মোড় নেওয়ার সংকেত দেয়। ⠀ ১.৩ উইন্ডশিল্ড ও উইপার উইন্ডশিল্ড: সামনের কাচ যা ড্রাইভারকে রাস্তা দেখতে সাহায্য করে ও ধুলাবালি প্রতিরোধ করে। উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার: বৃষ্টি বা ধুলা পরিষ্কারের জন্য ব্যবহৃত হয়। ⠀ ১.৪ দরজা ও দরজার হ্যান্ডেল=গাড়িতে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য দরজা ব্যবহৃত হয়। আধুনিক গাড়ির দরজায় সেন্ট্রাল লক সিস্টেম ও অ্যালার্ম সংযুক্ত থাকে। ⠀ ১.৫ রিয়ার ভিউ ও সাইড মিরর=এই আয়নাগুলো চালককে গাড়ির পিছন ও পাশে থাকা যানবাহন পর্যবেক্ষণে সহায়তা করে, যা নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য অপরিহার্য। ⠀ ১.৬ টায়ার ও চাকা (Wheels and Tires)=টায়ার গাড়ির সঙ্গে রাস্তার সংযোগ নিশ্চিত করে এবং ভালো গ্রিপ ও ব্রেকিং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। ⠀ ১.৭ এক্সটেরিয়র বডি (Body Panel)=গাড়ির বাইরের গঠন যেমন ছাদ, দরজা, বনেট, ট্রাঙ্ক প্রভৃতি অংশগুলো গাড়ির আকৃতি ও স্টাইল নির্ধারণ করে। ⠀ ⠀ ২. গাড়ির ভেতরের (Interior) যন্ত্রাংশ ও কাজ ২.১ স্টিয়ারিং হুইল (Steering Wheel)=গাড়ির দিক নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আধুনিক গাড়িতে পাওয়া যায় পাওয়ার স্টিয়ারিং, যা সহজে ঘোরানো যায়। ⠀ ২.২ গিয়ার লিভার (Gear Lever)=গাড়ির গতি ও শক্তি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এটি ম্যানুয়াল বা অটোমেটিক হতে পারে। ⠀ ২.৩ ব্রেক, এক্সিলারেটর ও ক্লাচ (Pedals) ব্রেক: গাড়ি থামাতে ব্যবহৃত হয়। এক্সিলারেটর: গাড়ির গতি বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। ক্লাচ: গিয়ার পরিবর্তনের সময় ইঞ্জিন ও চাকা বিচ্ছিন্ন করে। ⠀ ২.৪ ড্যাশবোর্ড (Dashboard)=এটি গাড়ির কন্ট্রোল প্যানেল যেখানে গতি, জ্বালানি, তাপমাত্রা ও অন্যান্য তথ্য প্রদর্শিত হয়। ⠀ ২.৫ স্পিডোমিটার ও ওডোমিটার স্পিডোমিটার: গাড়ির বর্তমান গতি দেখায়। ওডোমিটার: মোট চালিত দূরত্ব (কিলোমিটারে) দেখায়। ⠀ ২.৬ এয়ার কন্ডিশনার (AC System)=গাড়ির ভিতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে। এতে কম্প্রেসর, ব্লোয়ার, ইভাপোরেটর থাকে। ⠀ ২.৭ ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম=রেডিও, ব্লুটুথ, ন্যাভিগেশন ও মিউজিক কন্ট্রোলের জন্য ব্যবহৃত হয়। এতে টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, অডিও কন্ট্রোল, ফোন কানেকশন সিস্টেম থাকে। ⠀ ২.৮ সীট ও সীটবেল্ট সীট: যাত্রীর আরাম নিশ্চিত করে। সীটবেল্ট: দুর্ঘটনার সময় যাত্রীদের রক্ষা করে শরীরের ধাক্কা কমায়। ⠀ ২.৯ গ্লাভ বক্স (Glove Box)=ড্যাশবোর্ডের নিচে অবস্থিত ছোট বাক্স, যেখানে গাড়ির কাগজপত্র বা অন্যান্য ছোট জিনিস রাখা হয়। ⠀ ৩. ইঞ্জিন ও যান্ত্রিক (Mechanical) যন্ত্রাংশ ৩.১ ইঞ্জিন (Engine)=গাড়ির হৃদয় বলা হয় ইঞ্জিনকে। এটি জ্বালানি পুড়িয়ে শক্তি উৎপন্ন করে চাকা ঘোরানোর জন্য। ৩.২ ব্যাটারি (Battery)=ইলেকট্রিক পাওয়ার সরবরাহ করে গাড়ির ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইঞ্জিন স্টার্ট করতে সাহায্য করে। ৩.৩ রেডিয়েটর (Radiator)=ইঞ্জিনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কুলান্ট তরল ব্যবহার করে ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখে। ৩.৪ অল্টারনেটর (Alternator)=গাড়ি চলাকালীন ব্যাটারিকে চার্জ করে এবং ইলেকট্রিক সিস্টেম চালু রাখে। ৩.৫ ফুয়েল ইনজেকশন বা কার্বুরেট= জ্বালানি ও বাতাসের মিশ্রণ তৈরি করে ইঞ্জিনে পাঠায়, যাতে শক্তি উৎপন্ন হয়। ৩.৬ সাসপেনশন সিস্টেম=চাকা ও গাড়ির দেহের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। এটি রাস্তার ধাক্কা শোষণ করে মসৃণ ড্রাইভিং নিশ্চিত করে। ৩.৭ এক্সহস্ট সিস্টেম (Exhaust)=ইঞ্জিনের গ্যাস ও ধোঁয়া বাইরে বের করে দেয়, যাতে দূষণ কম হয় এবং ইঞ্জিন ভালো কাজ করে। ৪. নিরাপত্তা (Safety) সংক্রান্ত যন্ত্রাংশ ৪.১ এয়ার ব্যাগ (Airbags)=দুর্ঘটনার সময় যাত্রীদের মাথা, বুক ইত্যাদি অংশ রক্ষা করে নরম কুশনের মতো কাজ করে। ৪.২ সেন্ট্রাল লকিং ও অ্যালার্ম=চুরি প্রতিরোধে গাড়িকে নিরাপদ রাখে। অনেক সময় রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দরজা লক/আনলক করা যায়। ৪.৩ পার্কিং সেন্সর ও ক্যামেরা=গাড়ি পার্ক করার সময় পিছনের দৃশ্য দেখায় ও শব্দ দিয়ে অবগত করে যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। ⠀ গাড়ি চালানো যতটা সহজ মনে হয়, এর পেছনে থাকা যন্ত্রাংশগুলো ততটাই জটিল এবং বিজ্ঞানভিত্তিক। প্রত্যেকটি যন্ত্রাংশের নিজস্ব কাজ রয়েছে, যা একত্রে একটি সুরক্ষিত ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করে। তাই, একজন সচেতন চালক ও গাড়ি মালিক হিসেবে গাড়ির প্রতিটি অংশ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনি যদি এই লেখাটি উপকারি মনে করেন, তাহলে শেয়ার করুন আপনার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে। গাড়ি সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত জানতে চান? কমেন্টে লিখে জানান, আমরা সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ⠀ ⠀ #গাড়ির_যন্ত্রাংশ #কার_পার্টস #গাড়ির_ইঞ্জিন #কার_ইঞ্জিন #কার_টেকনোলজি #গাড়ি_মেইন্টেনেন্স #গাড়ির_নিরাপত্তা #কার_মেকানিক্স #গাড়ির_ভেতরের_অংশ #গাড়ির_বাইরের_অংশ #গাড়ি_প্রযুক্তি #গাড়ি_চালানোর_জ্ঞান #কার_ইলেকট্রিক্যাল_সিস্টেম #কার_মডার্ন_সেফটি #কার_ড্যাশবোর্ড #গাড়ি_মডেল #গাড়ি_প্রেমী #গাড়ি_কেয়ার #বাংলাদেশ_কার_সিস্টেম #Automotive_Design #HighTech_Cars #Vehicle_Parts #Engine_Modeling #CarStructureExplained

0 Reviews:

Post Your Review

Coming soon

Car tips or good driver trick

গাড়ির যন্ত্রাংশ: ভেতরে-বাইরের সকল যন্ত্রাংশের নাম ও কাজ গাড়ি কেবল বাহন নয়, এটি অসংখ্য যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে গঠিত একটি জটিল যন্ত্র। প্রতিট...