Phon hack
হ্যাক হলে যে লক্ষণ থাকে
মনে রাখবেন otp কেউকে প্রকাশ করবেন না ।
সারাবিশ্বে লাখো অ্যাপের ছড়াছড়ি। ডিভাইস বদল হচ্ছে বছরে বছরে। কিন্তু ব্যক্তি-তথ্য নিরাপত্তায় নজরদারি নেই বললেই চলে। ঠিক এসব বুঝেই আক্রমণ পরিচালনা করে হাজারো হ্যাকার গ্রুপ। নিজের ডিভাইস নিরাপত্তায় তাই সুকৌশলী হওয়া এখন সময়ের প্রয়োজন...
সারাবিশ্বে ইন্টারনেটের ব্যবহার যতটা বেড়েছে, স্মার্টফোনে হ্যাকিংয়ের সংখ্যাও তেমনি বাড়ছে। হ্যাকার চক্র নিত্যনতুন কৌশলে গ্রাহককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে।
কখনও ম্যালিশিয়াস লিঙ্কে ক্লিক করার কারণে, আবার কখনও ম্যালওয়্যারযুক্ত অ্যাপ ডাউনলোড করার কারণে ডিভাইস হ্যাকার দলের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে।
এখানে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক, যেসব কারণ দৃশ্যমান হলে বুঝবেন ফোনে হ্যাকার অনুপ্রবেশ করেছে বা আংশিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সাধারণত বিশেষ যে কয়েকটি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন ডিভাইস হ্যাক হয়েছে, তার মধ্যে অনির্ধারিত চার্জ, ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়া, অযাচিত অ্যাপ, দ্রুত ডেটা শেষ, অপরিচিত বার্তা ও ফোনকল, পপআপ বিজ্ঞাপন, অজানা ওয়েবসাইট, অতিরিক্ত তাপ এবং কাজে ধীরগতি অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গ্যাজেটস বিশেষজ্ঞরা। উল্লিখিত সব কারণ শুধু হ্যাকের কারণ নয়, বরং ডিভাইনে জটিল কিছু হয়েছে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত করে।
ব্যাটারি
যদি ধারণার চেয়ে দ্রুত ব্যাটারি ফুরিয়ে যেতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে ফোন হ্যাকের চেষ্টা করা হয়েছে। কারণ, অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে স্পাই অ্যাপ সক্রিয় থাকার কারণে ব্যাটারির
চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফোনের ব্যাটারিতে বিশেষ দেখভাল করার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়।
অ্যাপ জরুরি নয়
ডিভাইসে প্রয়োজন নেই বিশেষ– এমন কোন কোন অ্যাপ ডাউনলোড রয়েছে, তা যাচাই করা প্রয়োজন। কখনও যদি দেখেন, অনুমতি ছাড়া কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ ডিভাইসে প্রবেশ করেছে, তাহলে তা দুশ্চিন্তার কারণ।
হ্যাকার চক্র ডেটা চুরির জন্য কয়েকটি অ্যাপ কৌশলে প্রবেশ করিয়ে নেয়।
দ্রুত ডেটা শেষ
যখন হ্যাকার চক্র টার্গেট ফোন ট্র্যাক করতে বারবার সচেষ্ট হয়, তখন বাড়তি ডেটা খরচ হয়ে যায়। তখন ডেটা দ্রুত শেষ হতে শুরু করে। বিশেষ কোনো কাজ ছাড়াই যদি ফোনের ডেটা দ্রুত শেষ হওয়া দৃশ্যমান হয়, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যাটা হ্যাকিংজনিত।
ডিভাইসে ত্রুটি
হ্যাক হলে চটজলদি সমাধান হচ্ছে ডিভাইসের স্ক্রিন ফ্ল্যাশ করে নেওয়া। অনেক ক্ষেত্রে আবার ঘনঘন ফোনের সেটিংস বদলে বা ফোন কাজ না করার মতো ঘটনা সামনে আসবে।
ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ
সারাবিশ্বে কিছু স্পাই অ্যাপ গোপনে ফোনকল রেকর্ডের কাজে ব্যবহৃত হয়। এমন অ্যাপ ইনস্টল হয়ে গেলে ফোনকল করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে অযাচিত শব্দ শোনা যাবে। ঠিক তখনই সতর্ক হতে হবে। কারণ, হ্যাকিং হওয়ার অন্যতম লক্ষণ এটি। হুটহাট কিছু বিকট শব্দ হলে বুঝতে হবে ডিভাইসে অপ্রত্যাশিত কিছু কাজ করছে।
ডিভাইস গরম অনুভূত
সারাবিশ্বেই স্পাই ঘরানার সব ধরনের অ্যাপ সাধারণত প্রতিমুহূর্তে ডিভাইসের লোকেশন ট্র্যাকিংয়ে ব্যস্ত থাকে।
অর্থাৎ এতে জিপিএস সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ফোনের হার্ডওয়্যারের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে ওভারহিটিং সমস্যা অনুভূত হয়। অতিরিক্ত কোনো কাজ ছাড়া যদি ডিভাইসে
গরম
অনুভূত হয়, তাহলে সব অ্যাপের পারমিশন যাচাই করে নেওয়া জরুরি।
ব্রাউজিং হিস্ট্রি
সার্চ করেননি এমন বিষয় ব্রাউজিং হিস্ট্রিতে চলে আসে, সতর্ক হতে হবে তখনই। হ্যাকার চক্র ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ম্যালিশিয়াস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টার্গেট ডিভাইসের ডেটা চুরি করে। এর প্রভাবে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চলে। চলতি বছরের শুরু থেকেই সারাবিশ্বে হ্যাকার দলের উৎপাত বেড়েছে। হ্যাক হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অনেক। ঠিক এ কারণেই ডিভাইস নিরাপত্তায় এখন বাড়তি সতর্কতার
কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
Comments
Post a Comment